কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ছয় দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এসব সিন্দুক থেকে পাওয়া গেছে ছোট বড় ১৫ বস্তা টাকা।

বর্তমানে সেগুলো গণণা করা হচ্ছে।

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলার পর শুরু হয়েছে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।

টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখসহ আরও অনেকেই।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার চার মাস ছয় দিন পর মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে বিকেলে কতো টাকা পাওয়া গেলো তার হিসাব পাওয়া যাবে।

এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের ৬ নভেম্বর মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খুলে গণনা করে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দান সিন্দুকে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।